যাদের জন্ম এবং মৃত্যু হয় পানিতেই । বিশ্বের বিচিত্র পাঁচটি উপজাতি ! THE ...

দেখার জন্য ভিডিওটিতে ক্লিক করুন






আমাদের এই পৃথিবী বহু জাতি গত্র এবং সম্প্রদায়ে বিভক্ত।
এক এক জাতির জীবন ধারন আচার ব্যাবহার বা সংস্কৃতিতে যেমন বিপুল পার্থক্য দেখা যায় তেমনি বিশ্বে এমন
বহু গত্র আছে যাদের জীবন ধারন বা রিতি নিতি অন্য সবার চেয়ে আলাদা তো বটেয়।
কখনও কখনও তা অদ্ভুত , বিস্ময়কর এবং শিহরিত হবার মতো।
একে টিভির এই পরবে আপনাদের পরিচয় করে দিব এমন কিছু বেতিক্রম এবং অদ্ভুদ জাতি ও গত্রের সাথে
যাদের দেখে অভিভুত না হয়ে পারবেননা

এসারো ম্যাডম্যান
পাপুয়া নিউ গিনির অসংখ উপজাতির গোত্রের মধ্যে উন্নতম বলা যায় যারা এসারো ম্যাডম্যান বা কাদা মানব নামেও পরিচিত।
স্থানীয় ভাবে এদের হলুছাও বলা হয়। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা কাদা মাটি দিয়ে সারা শরীর ঢেকে তো রাখেই তাঁর সাথে মাটির
বিচিত্র মুখোশ দিয়ে ঢেকে রাখে মাথাও । পাপুয়া নিউ গিনির ইস্টার্ন হাইলান্দস প্রদেশের গোরকো গ্রামে বাস রয়েছে এসারো ম্যাডম্যানদের
জনশ্রুতি অনুযায়ী বহু বছর আগে প্রুতিদন্দি এক গোত্রের কাছে যুদ্ধে পরাজিত এসারো গোত্রের মানুষরা এসারো নদীতে আত্ম
গোপন করতে ব্যাধ্য হয়। সন্ধার অন্ধকার নামা পরজুন্ত তারা নদির তিরে লুকিয়ে ছিল| আর সন্ধার পর যখন সারা শরীরে কাদা মাখা এসাররা
নদির তির থেকে উঠে আসতে থাকে তখন শত্রুরা তাদের দেখে অসুভ প্রেতাত্মা ভেবে ভয় পেয়ে পালিইয়ে যায়।
এসারোরা নিরাপদে গ্রামে ফিরে আসে এবং শত্রুদের ভয় দেখানর জন্য সারা শরীরে কাদা মাখিয়ে রাখার পরিকল্পনা করে
কিন্তু মুখে তারা কাদা মাখতে পারছিলনা কারন এসারো নদির কাদা বিসাক্ত বলে মনে করত তারা। যে কারনে কাদা দিয়ে বিচিত্র রকমের
মুখোশ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কাদা মাটির তৈরি এসন কিংভুত আকার বিচিত্র সব মুখোশ রদে শুখিয়ে এবং আগুনে পুরিয়ে নিত
তারা । বর্তমানে কাদা মাটির এই মুখোশ তৈরির এই রেওয়াজ এসারোদের একটি সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর ১৯৫০ এর
দশক থেকে গোরকো ফেস্তিভাল উতজাপন করা হচ্ছে যেখানে কাদা মাটির তৈরি বিচিত্র এইসব মুখোশ পরে এসারোরা স্মরণ করে তাদের
পূর্ব পুরুষদের।

সামা বাজাউ
বাজু বা সামা বাজাউ নামে মালশিয়া, ইন্দনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে একটি জিপসি সম্প্রদায় রয়েছে যারা এখনও
টিকিয়ে রেখেছে ফ্রি ড্রাইভিং এঁর প্রাচিন আর্ট কে বলতে গেলে বাজাও সম্প্রদায়ের মানুষরা সাগরে জন্ম নেয় বা জিবিকা
ও মৃত্যু ও হয় এই সাগরেই, সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ধরা হয় কয়েক শতক ধরে জাজাবর জীবন জাপন করে
আসছে এই জাতির মানুষরা।
ইতিহাস ঘাতলে দেখা যায় সামা বাজাউদের আদি নিবাস ছিল ফিলিপাইনের ছুলু দিপ পুঞ্জ ও  ইন্দনেশিয়ার মিন্দানাও
দিপের আশে পাশে, সেখানে বহু বছর ধরে মরু বিদ্রোহীদের সাথে সরকারের সংঘাতের ফলে বাজাউরা বিভিন্ন দিকে
সরে পরতে বাধ্য হয়। বর্তমানে ইন্দনেশিয়া ও মালশিয়ার বিভিন্য উপকুলে রয়েছেও এই সামা বাজাউ সম্প্রদায়ের
বহু মানুষের বাস। 
মুলত পানির নিচ থেকে মাছ শিকার করাই এদের প্রধান জীবিকা। বেশির ভাগ বাজাউ শিকারি দুব দিয়ে পানির ৬৫
ফিট নিচে নেমে জেতে পারেন কয়েক মিনিট দম ধরে রাখতে পারেন অনায়াসে । তবে দুব দিয়ে ২৩০ ফিট নিচে যাবার
রেকরদ ও রয়েছে অনেকের। শৈশব থেকে দুব দেয়া এবং মাছ শিকার করার প্রশিক্ষন শুরু হয়ে যায় এবং 
৮ বছরের মধ্যেই পেশাদার দুবুরি ও শিকারি হয়ে ওঠেন সবায়। সাধারনত দিনের প্রায় ৫ ঘণ্টায় পানির নিচে থাকতে
অভ্যস্ত এই লোকেরা। সাম্প্রতিক গবেশনায় জানা গেছে বাজাউদের পানির নিচে তাদের শ্বাস নেবার ক্ষমতা অন্তত
৫০ শতাংশ বেশি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাজাউরা ডাঙ্গার চেয়ে পানিকেই বেশি ভাল বাসেন।
শুধু মাত্র সুপিয় পানি, নৌকার কাঠ ও জালানির জন্য ও মাছ বিক্রির প্রয়োজনে কাছা কাছি জনবস্তিতে
  যতটুকু সময় ডাঙায় থাকতে হয় ততটুকুই তারা থাকেন। উপকুল থেকে বেশ দূরে বাঁশ দিয়ে খুটি গেরে পানিতে ঘরবাড়ি ও তৈরি
করেন যে কারনে এদের গোটা জীবন পানিতেই কেটে যায়। জদিও বিদ্যুৎ বা আধুনিক পৃথিবীর কোন আনুশাঙ্গিক ব্যবহারের বালায়
নাই  এইসব বসতিতে। বাজাউরা লেখাপড়া করা তো দূরে থাক তাদের জন্মের দিন তারিখ বা বয়সের হিসাব রাখাটাও গুরুত্বহীন বলে
মনে করেন।
তবে সমুদ্র এবং জলজ প্রানির অনেক বিষয়ে বাজাউদের জ্ঞান অনেক বেশি। আর বংশ পরম্পরায় এই জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম
বয়ে চলে। কিন্তু তাদের এই প্রাচিন প্রথাটা এখন হুমকির মুখে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও চেষ্টা চালিয়ে জাচ্ছেন দুব দেবার এই আর্টকে
বাচিয়ে রাখতে।

ডুগণ
পশ্চিম আফ্রিকার মালি দেশের মধ্যভাগে বিস্ত্রিত মালভূমি এবং বান্দিয়াগারা এবং বুরকিনাফাসুর কাছে রয়েছে দুগন নামের বিচিত্র
এক জাতর বাস। দুগন্রা মুলত পরিচিত এদের বৈচিত্র্য পূর্ণ ধর্মীয় ঐতিহ্য কাঠের ভাস্কর্যয় মুখোস নাচ এবং অদ্ভুত স্থাপত্য কলার জন্য
বর্তমানে ৪ থেকে ৮ লাখ ডুগুণ মানুষের বাস রয়েছে ওই অঞ্চলে। বান্দিয়াগারা এস্কারপমেন্ট বা ১৫০ কিলমিতার দীর্ঘ এবং খারা ৫০০
মিটার উচু একটি ক্লিফ ডুগণ অঞ্চলটিকে ২ ভাগ করেছে। ক্লিফের উত্তর পশিম অঞ্চল বান্দিয়াগারা হাইল্যান্ড এবং এখানেই ডুগণ
জাতির মুল আবাসস্থল। ইতিহাশ থেকে জানা যায় হাজার বছর আগে ইসলাম ধরমে ধরমান্তর হউয়াকে প্রত্যাখান করেছিল
স্থানিয় বেশ কিছ্ গোত্র এরাই নিজেদের রিতিনিতি বাচিয়ে রাখতে বান্দিয়াগারা হাইলান্দে চলে এসেছিল। তারপর থেকে এখানে
সভ্যতা বিচ্ছিন্য জীবন জাপন করেছে ডুগণ জাতির মানুষরা। যে কারনে দুগন্দের বৈচিত্র্য পূর্ণ শিল্পকলাও বাচিয়ে থেকেছে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম্য।
ডুগণ শিল্পের মুল মাধ্যম বলা যায় কাঠের তৈরি ভাস্কর্যয়। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বা সামাজিক রিতি নিতি মুলত এদের ভাস্কর্যয় তইরির
 অনুপ্রেরনা। মানুষ বা বিভিন্য প্রানির প্রতিক্রিতিই ফুতিয়ে তোলা হয় দুগন্দের ভাস্কর্যে তবে প্রতিটি ভাস্কর্যের রয়েছে প্রতিকি অর্থ।
মুখশ নৃত্য ডুগণ সমাজে একটা গুরুত্যপুরন জায়গা দখল করে আছে। ধর্মীয়, সামাজিক এমনকি শেষ ক্রিত্তানুষ্ঠানেও মুখশ পরে
বিচিত্র বর্ণিল মখশ পরে নাচার চল রয়েছে এই সমাজে। তবে মুখোশ তৈরি এবং নাচের নিয়ম বেশ কঠোর । বিভিন্য শিশঠাচার বা বিধি
নিশেধ যেমন মেনে চলতে হয় তেমনে মুখোশ নাচার জন্য রয়েছে ভিন্য ভাষাও । ডুগণ মানুষরা সাধারনত কৃষিজীবী।
অল্প পরিশরে পশু পালন ও লখ্য করা যায় ডুগুণ সমাজে।
তবে বহু শতাব্দির বিচ্ছিন্ন জীবন জাপন সত্তেও দুগনরা জতিরবিদ্যা সংক্রান্ত বেশ জ্ঞান রাখে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম্য বয়ে চলেছে।
কোন ধরনের জন্ত্রপাতি ছারাই সৌরজগত বা বিভিন্ন তারার অবস্থান বিষয়ে চমৎকৃত হবার মতো ধারনা রয়েছে এদের। যে কারনে
অনেক বিজ্ঞানি মত দিয়েছেন সুদুর অতিতে ভিন গ্রহ বাসিদের সাথে দুগন্দের হয়ত জগাজগ ছিল। তবে যাই হকনা কেন ধর্মীয়
এবং সামাজিক রিতিনিতির পালনে ডুগণরা যে বৈচিত্র্য পূর্ণ তাতে দ্বিমত নেই কারই।

করোয়াই
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের পশ্চিম পাপুয়ার দক্ষিন পূর্বাঞ্চলে পাপুয়ান ইউগিনির সিমান্তে ঘন জঙ্গলে বাস রয়েছে করোয়াই গোত্রের।
স্থানীয়দের কাছে গোত্রটি কুলুফু নামেও পরিচিত। বর্তমানে এই গোত্রের প্রায় ৩ হাজার মানুষের বাস রয়েছে এই অঞ্চলে, আর এই গোত্রটি
 সভ্যতা থেকে পুরুপুরি বিচ্ছিন্ন তো বটেই,  ১৯৭৪ সালের আগ পর্যন্ত এরা জানতইনা যে করোয়াইরা ছারা বিশ্বে আরও মানুষের বাস
রয়েছে। ওই বছরি পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের একটি দল করোয়াই গোত্রের প্রথম সন্ধান পায় । এর কয়েক বছর পর কয়েকজন খ্রিস্টান
মিশনারি কয়েকদিন সাথে থাকতে শুরু করেন।
 এছারা পরবর্তীতে বেশ কিছু প্রামান্য চিত্র তৈরি হয় এদের নিয়ে। করোয়াইরা মূলত শিকারি
জাতি। এ ছারা জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে খাওয়ার যোগ্য উদ্ভিত, ফল বা পাখির ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করে ইচ্ছেমত জীবন ধারন করে এরা।
এদের খাবারের একটা বড় উৎস হচ্ছে ছাগো , যা বিভিন্ন ধরনের ক্রিসমান্ডলীয় তাল জাতিয় গাছের ক্যান্ডের ভেতরের নরম অংশ দিয়ে
তৈরি করা হয়। মাঝে মাঝে কিছু চাষাবাদ ও করে এই গোত্রের মানুষরা তবে এরা সিকার করা বা মাছ ধরায় দারুন দক্ষ। যদিও শিকারের
জন্য আদিম তিরধনু বা বর্শায় এদের প্রধান অস্ত্র। অদ্ভুত বিশয় হচ্ছে করোয়াইরা থাকার জন্য ঘর তৈরি করে গাছের উপর। মাটি থেকে
১৫ থেকে ৩০ ফুট বা আরও উচু গাছের চুরাই তৈরি হয় এসব ঘর।  অবশ্য অনেক উচুতে ঘর করার কারন ও রয়েছে বেশ কিছু। প্রথমত
বন্যার হাত থেকে বাচার জন্য। কারন প্রায়ই আকর্ষিক বন্যায় প্লাবিত হয় এই বিচরণ ভুমি প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্রের হাত থেকে নিরাপদে থাকাও
গাছের চুরাই ঘর বাধার একটি বড় কারন। বিরোধী গোত্র গুলু প্রায়ই করয়াইদের নারী ও শিশুদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। যে কারনে
অনেক উচুতে তৈরি এই ঘরগুলি কাজ করে সুরক্ষিত দুরগের মতই। আর এতে করে সহজে আগুন দিয়ে ঘরগুলু পুরিয়ে দিতে পারেনা
বিরোধী গোত্র গুলু।  তবে করোয়াইদের থাকার জন্য ১৯৮০ এর দশকে কয়েকটা গ্রাম তৈরি করে দেওয়া হলেও খুব কম মানুষই সেখানে
বাস করে। করয়াইদের সাথে অন্য গোত্রের বিরছের মুল কারনই হচ্ছে ডাইনি বিদ্যা বা জাদু বিদ্যা সংস্লিশঠ আচার অনুষ্ঠান। তারা অসুভ
আত্মার অন্ধ বিশ্বাসী, যে কারনে এখনও এদের মধ্যে নর মাংশ ভক্ষন প্রথা চালু রয়েছে। সাধারনত প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্রের বন্দিদেরই এই
পরিনতি ভগ করতে হয়। বিপদ সংকুল জঙ্গলে কঠিন জীবনে অভ্যস্ত করোয়াইদের আইয়ু খুব বেশি নয়

নেনেটস
উত্তর আর্কটিক রাশিয়ার বিস্তিরন অঞ্চল মূলত ঠাণ্ডা বরফ আচ্ছাদিত ও বছরের অধিকাংশ সময়ই চলে তিব্র তুশার পাত বা তুশার ঝর,
ক্ষণস্থায়ী গ্রীষ্মকাল মটেও সুখকর নয়। যে কারনে এই অঞ্চল সাথারন মানুষের বসবাসের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। কিন্তু এই চরম
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ও নেনেটস নামের একটি জাতির বাস রয়েছে এখানে।  2010 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইয়ামালো নেনেটস
আটনম অক্রগ এবং নেনেটস আটনম অক্রগ ফেডারেল এ প্রায়  45 হাজারনেনেটস মানুষের বাস রয়েছে

 ইতিহাস থেকে জানা যায় 12 শতকের আগে সাইবেরিয়ার  দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাশিয়ার সবচেয়ে উত্তরের প্রান্তে বসবাস শুরু করেছিল নেনেটসরা
মূলত শিকার এবং বলগা হরিণ লালন-পালনই এদের প্রধান জীবিকা, তবে নেনেটস সমাজে বড় পরিসরে বলগা হরিণ পালন শুরু হয়েছিল
 ১৮ শতক নাগাদ , বলগা হরিণ পালনের কারণে নেনেটসরা এক জায়গায় স্থিত  হতে পারেনি  বরফের মধ্যে মস ছাড়া বলগা হরিণদের খাওয়ার
 অন্য কোন উদ্ভিদ জন্মায় না ,আর নতুন জায়গায় চরতে নিয়ে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আশপাশের সমস্ত মস খেয়ে শেষ করে ফেলে
বলগা হরিণরা,  ফলে কয়েক দিন পর পরই হরিন চরানোর জন্য   নতুন নতুন জায়গা নির্বাচন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে,
যে কারণে অনেকটা যাযাবরদের মতো জীবন  যাপন করতে হয় নেনেটসদের,  আর তাদের থাকার জন্য এক ধরনের তাঁবু এমন ভাবে তৈরি করা

 হয় যাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে খাটানো বা তুলে ফেলা যায়, সাধারণত বেশকিছু লম্বা খুতি গোল করে
দাঁড় করিয়ে এদের মাথা একত্রে বেধে ফেলা হয় এবং তাবুর আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা হয় বলগা হরিণের চামড়া
সাধারণত একটি  তাবুর ভিতর ১টি কি ২টি পরিবার থাকতে পারে তবে নেনেটস সমাজের রীতি অনুযায়ী
তাঁবুর ভেতর নারী ও পুরুষদের থাকার জায়গায় আলাদা আলাদা করা থাকে।  এছাড়াও বহুদিন ধরে ব্যতিক্রমী কিছু রীতিনীতি ও পালিত হয়ে
 আসছে নেনেটসদের মাঝে।  বলগা হরিণের মাংস দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার ছাড়াও মাছ ও এদের  খাবারের
অন্যতম জায়গা দখল করে রয়েছে ,নেনেটসরা এনিমিজম এ  বিশ্বাস করে,  তার মানে তারা বিশ্বাস করে যে কোনো বস্তু প্রাণী বা সৃষ্টিরই
 আলাদা সত্তা  রয়েছে, যে কারণে তারা

তাদের বিচরণ  ভূমি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর রীতিমত শ্রদ্ধাশীল ।  সেই সাথে প্রকৃতি এবং আশপাশের অঞ্চল গুলোর উপর
নেনেটসদের জ্ঞান ও অসিম । প্রচণ্ড বিরুপ আবহাওয়া বা  তুষারপাতের মধ্যেও দিক চেনা নেনেটসদের ক্ষমতা অবিশ্বাস্যই বলা
যায়।  তবে সম্প্রতি শিল্পায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে নেনেটসদের জীবনে

Comments

Popular posts from this blog

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ৫ জাহাজ যার ভেতরে দেখলে বিস্মিত হবেন - Top 5 Biggest...

পৃথিবীর বিস্ময়কর ৫ টি জলপ্রপাত। The top 5 Wonders waterfalls of the World Iguazu, Gullfoss, Niagara