কচ্ছপটির কষ্টের কথা জানলে কাঁদতে শুরু করবেন SAD AMAZING STORY OF A in...
পড়ার সময় না থাকলে ভিডিওটিতে ক্লিক করুন
দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ইচ্ছা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমরা লক্ষ লক্ষ টন আবর্জনা সমুদ্রে ফেলে দিচ্ছি, আমাদের মাটি, আমাদের পানি , বায়ুমণ্ডল এবং পরিবেশ যতোটুকু দূষিত তার জন্য শুধু আমরা মানুষই দায়ী, দুঃখজনক কথা এটি যে আমরা বেশীর ভাগ লোক, আমাদের কাজে এতটাই ব্যস্ত যে পৃথিবীতে কি কি হয়ে চলেছে তাতে আমাদের কারো কিছু যায় আসে না, হতে পারে আমার এ কথাতে, আপনার অনেক রাগ হতে পারে, কিন্তু যা সত্য তাই আপনাদের বললাম কিন্তু সবকিছু বদলে যাবে যদি প্রকৃত সমস্যার ঘটনা আমাদের সামনে চলে আসে, তাই আজকে আমি আপনাদেরকে একটা বোবা প্রানীর দুঃখজনক জীবনের কথা বলতে চলেছি
পকেট থেকে রুমাল বাহির করে রাখুন, কারণ কান্না আপনারও আসবে। এ ঘটনা বলার আগে আপনাকে একটি কথা বলতে চাচ্ছি যে, আমরা আমাদের সমুদ্রকে কতটুকু নোংরা করে ফেলেছে, এতগুলো প্লাস্টিক আমরা ব্যবহার করিনা না যতটুকু আজকে সমুদ্রে পড়ে আছে, 1960 সাল পর্যন্ত ১ পারসেন্ট ব্যবহার করা হতো প্লাস্টিক, কিন্তু 2011 সাল আসতে আসতে এটা ১০% হয়ে যায়, আজ এটা 12% পৌঁছেছে, আমাদের চারপাশে শুধু প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক পড়ে আছে, সকালে উঠতেই আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহার করা শুরু করে দিই, রাতে শোবার সময় আমরা প্লাস্টিক সাথে নিয়ে শুয়ে পরি, আর এটি আমরা শুধু এ কারণেই ব্যবহার করি, কারণ এটি ব্যবহার করার সময় খুব সহজ হয়, কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন যে, যদি ১টি প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দেন, এর প্রভাব আমাদের পরিবেশে কি পরিমান হবে??
অবশ্যই দুনিয়াতে এমন কিছু কোম্পানি আছে, যারা প্লাস্টিক কে রিসাইকেল করার কাজে লেগে আছে, কিন্তু এটা খুবই কম, আজ আমাদের প্রতিদিন ব্যবহারের বেশিরভাগ প্লাস্টিক সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ নষ্ট হবার জন্য 100 বছরের বেশি সময় লেগে যায়, এই প্লাস্টিকের ব্যাগ টি আমাদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও কিন্তু অন্য প্রাণীদের জন্য জীবন ঘাতকের সমান, আর বিজ্ঞানীরা এই ম্যাসেজটা দিচ্ছেন যে 2025 সাল আসতে আসতে সমুদ্র থেকে ধরা 3 টোন মাছের মধ্যে 1 কুইন্টাল এর চেয়ে বেশি প্লাস্টিক হবে, আর তা সামুদ্রিক জীবনের জন্য অবশ্যই মৃত্যুর কারন, আর কারো কারো জন্য এখনিই মৃত্যুর কারন হয়ে পরেছে।
বর্তমানে সমুদ্র রিচার্জ করতে করতে বিজ্ঞানীদের একটা কচ্ছপ মিলেছে যার শরীরের আকার দেখে সকলের চোখে পানি এসেছে।
আমরা সাধারণত যে রকম কচ্ছপ দেখি , এই কচ্ছপ টি সবার চাইতে একদম আলাদা, এটার কোমর একদম চিকন পাতলা ছিল, আসলে ওটার শরীর একটা প্লাস্টিক রিং এর ভেতর ফেসেছিল, যখন এটার জন্ম হয়েছিল তখনি এর ভেতর ঢুকে ছিল হয়তো, এটা আসলে চমকে যাওয়ার কোন কথা নয় যে, যত প্লাস্টিক সমুদ্রে পড়ে রয়েছে, এতটা জীব ও সমুদ্রের ভেতর নেই। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই কচ্ছপটি ওই রিং থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু বেচারা খুলতে পারে নাই, সময় চলে গেছে ধীরে ধীরে বড় হয়ে গেছে কচ্ছপটি। ওর কাছে এমন কোনো সুযোগ ছিল না যে, সে ঐ রিং থেকে বের হয়ে আসতে পারে যার পরিণামে তার শরীর ওই রিং অনুসারেই বড় হতে শুরু করে কিন্তু কচ্ছপটি তার পরেও বেঁচে ছিল, কিন্তু তার শরীর অন্য কচ্ছপের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে তৈরি হয়েছিল।
তার শরীরের ভেতর দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল । এটা হয়তো আমার জন্য চিন্তা করাটা মুশকিল যে , কচ্ছপটি কি কি কষ্টের সম্মুখীন হয়েছিল সেটাও একটা মাত্র প্লাস্টিকের রিং এর জন্য, যখন এটি বিজ্ঞানীদের মিলে তখন তার বয়স 19 বছরের কাছাকাছি ছিল। আর এই ১৯ বছর এই রিং এর ভেতরে আটকা ছিল এই নিরীহ প্রাণীটি। অবশ্যই বিজ্ঞানীদের দল রিং কেটে তাকে মুক্তি দিয়েছিল । কিন্তু ওর শরীর আজও যেরকম সেরকমই রয়েছে
এটা তো কেবল মাত্র একটা সত্য ঘটনা আমি আপনাকে জানিয়েছি, না জানি আরো কত প্রাণী এরকম মানুষের ফেলে দেওয়া দ্রব্য থেকে এরকম সাজায় আঁটকে রয়েছেন । আর যার কারণে অনেক প্রাণী সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করছে। ভাগ্যবশত দুনিয়ার সব লোক প্লাস্টিকের প্রতি সচেতন হচ্ছে ।
রিকোয়েস্ট করছি আপনিও নিজেকে জাগ্রত করুন এবং আমাদের পৃথিবী কে সুন্দর করতে সাহায্য করুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন। জাতে আরও বেশি লোক এই সত্য ঘটনা দেখতে পারে।
Comments
Post a Comment