Some Craziest ways to Cook রান্না করার অদ্ভুত কিছু উপায় যা দেখলে চোখ কপ...
বিশ্বজুড়ে খাবারের কত পদ যে তৈরি হয় তা হিসেব করে শেষ করার উপায় নেই। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন সব খাবার। আবার অনেকে খাবার তৈরীর প্রক্রিয়াটি নিয়ে চালাচ্ছেন অদ্ভুত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
যেমন ধরুন কাপড় ইস্ত্রি করার আয়রন মেশিন দিয়েও আপনি খাবার তৈরি করতে পারেন। বিশেষ করে স্যান্ডুইস, অনেকেই হয়তো এটা করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। তবে এটা ছাড়াও যে রান্নার আজব আজব আর কিছু উপায় রয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এ,কে,টিভির এই পর্বে আপনাদের জানাবো অবাক করা কিছু রান্নার পদ্ধতি সম্পর্কে।
আগ্নেয়গিরি দেখে শিহরিত হওয়াটাই স্বাভাবিক তবে যারা এত সহজে শিহরিত হন না তবে জেনে রাখুন অনেকেই সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভার উপর রান্না করার মত উদ্যোগ ও নিয়েছেন। আগ্নেয়গিরি থেকে উদগেরিত লাভার তাপমাত্রা মোটামুটি ৭০০ থেকে ১২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত তার ওপর ডিম ছেড়ে দিলে তা সাথে সাথে রান্না হয়ে যায় আর মাংশ দিলে অল্প কিছুক্ষন সময় লাগে।
তবে জেমস মে নামে এক ব্যক্তি আরো বেশি মাত্রায় পরীক্ষা চালিয়েছেন , তিনি আইসল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে উত্তপ্ত পাথর সংগ্রহ করে তার ওপর করায় রেখে মাংস রান্না করেছেন । তার মতে এভাবে খুব সহজেই মাংস সহ সব ধরনের খাবার রান্না করতে পারবেন
এক ব্যতিক্রম রান্নার উপায়ের কথা জঙ্গলে ঘুরতে গেলে বা যেখানে রান্নার হারি পাতিল নেই সেখানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা জেতে পারে। রিগলো সাকোলাভ নামে একজন রুশ বন কর্মী এভাবে রান্নার একটি উপায় দেখান। তিনি এই পদ্ধতিতে মাত্র ১৫ মিনিতের মধ্যে যে কোন কিছু রান্না করে দিতে পারেন। প্রথমে তিনি মাটির মধ্যে গর্ত করে চুলা তৈরি করেন সামান্য দূরে একটি সংযোগ গরত করেন আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য। এবার বর গর্তটির উপর কাঠি বা ডাল রেখে তার উপর মাংশ রেখে দেন। মাংশের উপর আরেকবার ডাল বিছিয়ে তার উপরে ঘাশ বা লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেন। সব শেষে তার উপর মাটি চাপা দিয়ে দেন। এভাবে তাপ ও চাপের কারনে খুব দ্রুতই রান্না হয়ে যায়।
এবার জানবেন ধাতব স্বাদে বারবিকিউ তৈরীর খবর এর জন্য যুক্তরাজ্যের কয়েকজন বৈজ্ঞানিক মিলে ক্রিত্তিম লাভা তৈরি করেছেন। কিছু ধাতব পদার্থকে উচ্চমাত্রায় গলিয়ে তৈরি করা হয় কৃত্রিম লাভা এই লাভার তাপমাত্রা ছিল মোটামুটি ১১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এজন্য প্রায় ৬০ ঘন্টা ধরে লাভাটিকে উত্তপ্ত করা হয়। তারপর তারা এর উপর বারবিকিউ করে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা লাভার উপরে ধাতব খাচা রেখে বারবিকিউ করা সুরু করেন।
বারবিকিউ শেষে আরেকটা পরীক্ষা করার জন্য তারা মাংসের টুকরো সরাসরি কৃত্তিম লাভার উপরে ছেড়ে দেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে যে মাংস রান্না হয়ে যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রান্নার আরেকটা অদ্ভুত পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানের ছাত্র, এক ভিডিওতে তিনি দেখিয়েছেন মাংশের উপর সরাসরি গলিত অ্যালুমিনিয়াম ঢেলে দিচ্ছেন আর তাতে তাপের কারণে মাংস সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে পরবর্তীতে তিনি একটা ফ্রায়িং প্যানে কিছু অ্যালুমিনিয়াম টুকরো নিয়ে তাপ দিয়ে গলিয়ে ফেলেন। এরপর তার মধ্যে মাংশ ছেরে দেন এবং দেখা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাংস রান্না হয়ে যাচ্ছে যদিও গলিত অ্যালুমিনিয়াম কখনই মাংশের সাথে লেগে থাকেনা। তবে এ এস পদ্ধতিতে মাংশ রান্না করলে তা আর খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। অবশ্যই পদ্ধতিটি যে বেশ অদ্ভুত এবং মজার তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মাংসের স্টেক রান্না করার আরেকটি অদ্ভুত উপায় দেখিয়েছেন ২ ইউটিউবার তাদের Good mathical morning নামের একটি চ্যানেলে স্টেক তৈরি করার জন্য তারা ব্যবহার করেছেন একটি গ্যাস বার্নার।প্রয়োজনীয় মশলা ইত্যাদি মাংস মেখে তারপরে গ্যাস বার্নারের আগুনে ঝলসে নিলে তা খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। যদিও এ পদ্ধতিতে মাংস টা একটু শক্ত থেকে যায় তবে চটজলদি স্টেক রান্না করে খাওয়ার জন্য নিঃসন্দেহে এটি দারুন একটি উপায় হতে পারে ।
প্রচন্ড গরমের দিনে গারিকেও রান্নার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ধরুন আপনি কিছু চকলেট চিপ কুকি তৈরি করতে চান, কিন্তু হাতের কাছে অভেন নেই, সে ক্ষেত্রে কুকির প্রাথমিক কাজ শেরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা ট্রের উপর সাজিয়ে গারির ভেতর ডেস বোর্ডের উপর রেখে দিতে পারেন। গাড়িটি রোদের মধ্যে থাকলে ভেতরে যে তাপ তৈরি হবে তাই ওভেনের মত কাজ করবে এবং এক সময় এমনিতেই কুকি তৈরি হয়ে যাবে তবে এক্ষেত্রে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করবে গারির ভেতরের তাপমাত্রার উপর।
আবার কোথাও ভ্রমণের সময় আপনি যদি গাড়ি না থামিয়েই খাবার তৈরি করতে চান তাহলে একটা মজার উপায় আছে। প্রয়োজনীয় সব উপকরন দিয়ে খাবার তৈরির জন্য একটা ফয়েল পেপারে তা মুরিয়ে নিন তার পর গারির ইঞ্জিনের সবচেয়ে গরম অংসে তা রেখে দিন। এভাবে গারি চালিয়ে দুরের গন্তব্যে গেলেই আপনি নিজের খাবার ও প্রুস্তুত পাবেন। মিত বাইস্তার প্রগ্রামের জেমিও এডামস ও বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য একটি এক্সপেরিমেন্ট চালান তাদের খাবার রান্নার জন্য ফয়েল পেপারে মুরিয়ে তা গারির বিভিন্ন্য অংসে রেখে দেন। তাতে দেখা যায় নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর তাদের কয়েক জনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার রান্না হয়ে গেছে। তারা পরামশ্য দিয়েছেন যখন গ্যাসের সংকট থাকবে তখন গারির ইঞ্জিওনের উত্তাপ থেকে চাইলেই অনেক ধরনের খাবার এমনকি বারবিকিউ পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব। তবে সুপার কার ব্যবহার করে Scrambled eggs তৈরির এই ভিডিওটি না দেখলেই নয়।
জুক্ত রাষ্ট্রে একটি কমেডি শো এর উপস্থাপক একটি lamborghini গারি ব্যবহার করে তার ইউটিউব চ্যানেলে এভাবে ডিম ভেজে দেখান। সাধারনত সুপার কারের ইঞ্জিন সাধারন গারির তুলনায় বেশি তাপ তৈরি করে। আর এটাকেই রান্নার কাজে ব্যবহারের চিন্তা করেন তিনি। গারিটি নিয়ে কয়েক বার চক্কর ঘুরে আসার পরই তিনি একটি ফ্রায়িং পান উত্তপ্ত ইঞ্জিনের উপরে রেখে তাতে ২-৩ টি ডিম ভেঙ্গে ছেরে দেন আর কিছুক্ষনের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় Scrambled eggs যা সধারন চুলার ভাজার মতই সাভাবিক ছিল
অবশ্য খাবার রান্না বা গরম করার আর একটি সহজ উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে সূর্যের তাপকে কাজে লাগিয়ে পিজা, সান্ডুইস, বিস্কুট সহ অনেক খাবারি গরম করে খেতে পারবেন। এই জন্য একটা খালি বাক্স নিয়ে একপাশ কেটে তাতে এলুমুনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে দিয়ে সহজে একটি সৌর ওভেনের মত তৈরি করে নিতে পারেন। এতে খাবার রেখে সূর্যের আলোর নিচে রেখে দিন। অবশ্য এই পদ্ধতিতে খাবার গরম হতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। কিন্তু এটি শুধু বিনা খরচেই নয় সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধবও বটে।
Comments
Post a Comment