পৃথিবীতে এই ৬টি স্থান যেটাকে কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবেইনা। 6 Scientifically Impossible Places
হয়তো আপনার জানা নেই কিন্তু আমাদের
এই জমিন রহস্যে ভরা ১ নয় ১০ নয় ১০০ নয় বরং হাজারো এমন জায়গা রয়েছে যা এখনো
আমাদের সামনে একটি রহস্য ও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, কিন্তু প্রকৃত সত্য এটা যে আজ ও আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শিখছি, আজ আপনার কাছে একটি সুযোগ
এসেছে নিজের জানার পরিধিকে আরও বাড়ানোর জন্য,
তো চলুন আমার সাথে থাকুন এবং দেখতে
থাকুন দুনিয়ার এমন কিছু জায়গা যাকে দেখে আমাদের বিজ্ঞানীগন অসম্ভব মনে করেন,
হকার্ডলার ভ্যালি Haukadlaur Valley
দুনিয়াতে শুধু মানুষই নয়, যারা
নিজের জন্য পানির ফোয়ারা তৈরি করেন। বরং প্রকৃতিও নিজে নিজেই পানির ফোয়ারা তৈরি
করেন। যেটাকে আমরা সাধারনত গাইজারস বলে থাকি। আর দুনিয়াতে সবচেয়ে বিখ্যাত
প্রাকৃতিক ফুয়ারা আইসল্যান্ডের হকার্ডলার ভ্যালিতেই আছে। যখন এখান থেকে পানি উপরে
ওঠা শুরু হয়, আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারবেন না যে ঐ পানি ৭০ মিটার উঁচুতে উঠে
যায়।
আর যখন এটা শান্ত হয়ে যায় তখন
এটাকে বলের মতো লাগে এবং পুরোপুরি নীল রঙের দেখায়।এই ফোয়ারা প্রতি 10 মিনিট পর পর
উপরে উঠে এবং পানি 70 মিটার উঁচুতে উঠে। একটু ভেবে দেখুন পানিকে 70 মিটার উপরে
উঠানোর জন্য প্রকৃতি এটাতে কত শক্তি প্রয়োগ করে।
ওয়াইটমো কেভস Waitomo Caves
যদি আপনি কখনো দুনিয়ার কর্ণারে চলে
যান অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড যান তো আলাদা একটা সুন্দর দৃশ্য আপনার চোখে ধরা দিবে,
সেখানে আপনি এমন একটি গুহা দেখতে পাবেন যা পুরোটাই তাড়াই তাড়াই পরিপূর্ণ,
প্রকৃতপক্ষে এসব কোন আসল তারকা নয়, কিন্তু এটি দেখতে তারকার চেয়ে কম কিছু নয়। তো
চলুন আমরা এটাকে আর তাড়া না বলি, কারণ প্রকৃতপক্ষে এটাও একটা জীবন্ত প্রাণী।
এটি এক ধরনের ফাঙ্গাস, যা পুরা
দুনিয়াতে শুধুমাত্র এই গুহাটিতেই এটি পাওয়া যায়। হয়ত আপনি বিশ্বাস করবেন না এই
ছোট ছোট প্রাণী যত বেশি ক্ষুধার্ত হবে, ওটা থেকে বের হওয়া আলো ততটাই বেশি উজ্জ্বল
হবে। হাজারো ছোট ছোট প্রাণী মিলে এরকম নীল আলো দেয়, যা দেখে সকলে হয়রান হয়ে যায়।
কানো ক্রিস্টাল Cano Cristales
যদি আপনি কখনো কলম্বিয়া যান তো,
কানো ক্রিস্টাল যাওয়ার সুযোগটা মিস করবেন না, কারণ পুরা দুনিয়াতে এটি একমাত্র
নদী, যা ৫ রঙে প্রবাহিত হয় যেরকম আপনি দেখছেন। এটার এ নাম এমনি এমনি রাখা হয়
নাই, এই নদীতে আলাদা আলাদা ৫ রকমের শৈবাল পাওয়া যায়, যা উপর থেকে দেখলে নদীকে এ
রকম দেখতে লাগে। ডিসেম্বর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫ রকমের শৈবাল এরকম আলাদা আলাদা রঙে
পাওয়া যায়।
আর সেপ্টেম্বর আসার সাথে সাথেই ৫
রকমের শৈবালই নিজেদের রং বদলে দেয়। আর আমাদের এই অপুরুপ সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ
মেলে। আমরা চাইলেও সেখান থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না। এটা থেকে আমরা
যেটা বুঝতে পারি যে প্রকৃতির চাইতে বড় কালাকার আর কেউ হতে পারে না।
নরকের দরজা Door of Hell
তুর্কেমেনিস্তান এ আজব জিনিস আমাদের চোখে পড়ে,
এখানে এমন একটা জায়গা আছে যা ভয়ঙ্কর তো অবশ্যই,
আর এটাকে যে দেখতে আসে, সে এটা সম্পর্কে শুধু জিজ্ঞেসই করতে থাকে, কিন্তু
এটা কি এবং কেন? এটার সম্পর্কে সঠিক তথ্য কারোই জানা নেই, এখানকার স্থানীয় লোকজন
এটাকে নরকের দরজা বলে, এটা আশ্চর্যজনক যে, এই গর্ত কয়েক বছর আগেরই তৈরি হওয়া,
এটার সম্পর্কে লোকজনের সঠিক জানা শুনা নাই।
তবে এটার কাহিনী অনেক ভয়ঙ্কর ও মজাদার, ১৯৭১ সালে স্থানীয় লোকজন এখানে মাটি থেকে
আগুনের শিশা উঠতে দেখে, প্রশাসন যখন ওখানে খুঁড়তে শুরু করেন তখন জমিনের একটা বড়
অংশ নীচে দেবে যায়, সাথে ওখানে কাজ করা মেশিন ও মাটির নিচে চলে যায়, আর তখন থেকে আজ পর্যন্ত এখানে অনবরত আগুন
জ্বলছে, আর এই বিশাল আগুনের গর্ত কে দেখার জন্য লোকজন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
এখানে ছুটে আসে।
ল্যানছয়েস মারানহেনছেস ন্যাশনাল পার্ক
Lancois Maranhenses National Park
বছরে 6 মাস ব্রাজিলের ল্যানছয়েস মারানহেনছেস
ন্যাশনাল পার্কে বিশেষ কিছুই হয় না। এখানে শুধু মাটি মাটি আর মাটিই দেখা যায়,
এখানে কোন ফসল তৈরি করা নিষিদ্ধ। বৃষ্টির মৌসুমে এ জায়গাটি পুরোপুরি বদলে যায়,
যখন এখানে বৃষ্টি শুরু হয়, বৃষ্টির পানি মাটির নিচে না গিয়ে মাটির উপরে জমা হয়ে
কুদরতি পুকুর তৈরি হয়।
আর এ পুকুর সমুদ্রের যে কোন বিচ থেকে
অনেক বেশি সুন্দর হয়, ঐ সময় ওখানকার তাপমাত্রা 30 ডিগ্রিতে থাকে। আর দুনিয়ার
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন বৃষ্টির মৌসুমে কুদরতি পুকুরের মজা নেয়ার জন্য এখানে
ছুটে আসে। এটা আসলেই প্রক্রিতির এক আশ্চর্য সৃষ্টি।
আন্টিলপ ক্যানিয়ন Antelope Canyon
আমার মনে হয় দুনিয়ার প্রত্যেকটা
লোক আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সম্পর্কে অবশ্যই শুনেছেন। কিন্তু কিছু কারণের
জন্য অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়ন কে অনেক কম লোক জানে।
আপনি একটু দেখুন এটা কত সুন্দর, এই সুন্দর দৃশ্যময় জায়গাটা আমেরিকাতেই
পাওয়া যায়, আসলে আন্টিলপ ক্যানিয়নের দুইটা অংশ। একটা উপরের অংশ আর একটা নিচের
অংশ। এখন আপনি হয়ত চিন্তা করছেন যে, এটার এমন সুন্দর সেপ কি ভাবে হল।
আসলে কয়েক বছর পর পর এখানে
ভয়ঙ্কর বন্যা আসে। আর বন্যার পানি পাথরে ঘর্ষণের ফলে এইরকম সেপ হয়েছে। আর এরকম
গত বেশ কিছু বছর ধরে হয়ে আসছে, যার পরিণামে আজ আমরা প্রকৃতি থেকে এই সুন্দর্য
পেয়েছি।
তো দোস্ত আপনাকে এসবের মধ্যে কোনটা
ভাল লেগেছে আমাকে নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
Comments
Post a Comment